‘শামস’ কি,কেন?
‘শামস’ এর ভুবনে আপনাকে স্বাগতম, ‘শামস’ কি,কেন জানুন। ‘শামস’ কে আমরা ‘শামস’সোশ্যাল সার্ভিসেস এন্ড মার্কেটিং কোং নামে অভিহিত করি। ‘শামস’ একটি পেশাদার বিপণন সংস্থা। ‘শামস’ একটি আরবী শব্দ যার অর্থ ‘সূর্য’। ‘শামস’ এর পূর্ণ রূপ সোশ্যাল আর্কাইভ এন্ড মিডিয়া সার্ভিসেস। সূর্য যেমন বিশাল গভীরতা ও গুণবলীর প্রতীক। যেমনি ভাবে 'সূর্য' রাতকে বিধুরিত করে দিনের আলোয় উদ্ভাসিত করে, আমরাও তেমনি কর্মসংস্থান ও সমাজকর্মের মাধ্যমে, হালাল ও উচ্চ বেতন ভুক্তি পারিতোষিক আয়ের মাধ্যম, দারিদ্র্য মুক্ত উন্নত দেশ গড়ে সমাজ থেকে হতাশা,দারিদ্রতার অভিশাপ মুক্ত করে জীবন মানের উন্নয়ন ঘটিয়ে প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে উন্নয়নের ছোঁয়ায় ভরিয়ে দিব। ‘শামস’ একটি ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষনাগার ও ইলেক্ট্রোনিক তথ্য সম্প্রচার কেন্দ্র, যেখানে ব্যাক্তিগত ও সামাজিক তথ্য সংরক্ষন করা যাবে, শিক্ষা, সুস্বাস্থ ও উন্নত স্বাস্থ সেবা প্রদান করা হবে ইনশায়াল্লাহ।
ইউনিভার্সাল সংরক্ষনাগার কি ?
اِنَّ عَلَیۡكُمۡ لَحٰفِظِیۡ- সুরা আল ইন ফিতার,আয়াত ১০. আল্লাহ্ সুবহানাল্লাহু তায়ালা সংরক্ষণাগারের বিষয়ে কি বলেছেন তা জানার জন্য আপণাকে আমন্ত্রণ, আল্লাহ্ সুবহানাল্লাহু তায়ালা সুরা আল ইন ফিতার,আয়াত ১০-এ বলেছেন, নিশ্চয় তোমাদের উপর সংরক্ষকগন রয়েছে অর্থাৎ তোমাদের কর্মবিধি লিপিবদ্ধ করার জন্য কেরামন কাতেবিন নিযুক্ত আছেন। সুত্র-আল-বায়ান। ফেরেশতারা প্রত্যেক ব্যক্তির প্রত্যেকটি কাজ সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত।এ সম্পর্কে সূরা কাহাফের ৪৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে, কেয়ামতের দিন অপরাধীরা অবাক হয়ে দেখবে তাদের সামনে যে আমলনামা পেশ করা হচ্ছে তার মধ্যে তাদের ছোট বড় কোন একটি কাজও অলিখিত নেই। যা কিছু তারা করেছিল সব হুবহু ঠিক তেমনিভাবেই তাদের সামনে আনা হয়েছে। সুত্র-কুরতুবী। এই আয়াত দ্বয়ের ব্যখ্যায় প্রমানিত আল্লার সংরক্ষনাগারই শ্রেষ্ঠ এবং আল্লাহ্ই সর্ব শ্রেষ্ঠ সংরক্ষক, ইহাই ইউনিভার্সাল সংরক্ষনাগার। তাই ‘শাম’স’ আল্লাহ্র হুকুমের অনুস্বরন করে সমাজের প্রতিটি মানুষের জীবন যুদ্ধের ঘটনা প্রবাহ লিপিবদ্ধ করে ‘শাম’স’ সংরক্ষনাগারে সুরক্ষিত করে সংরক্ষন করবে। যাহা আপনার জীবনি ও তথ্য সংরক্ষনে দুনিয়ার সর্বোত্তম সংরক্ষণাগার,যা জীবনে কোন দিন নষ্ট হবে না, হারিয়ে যাবেনা। আপনার চাহিদা মোতাবেক যখন তখন পেতে পারেন। সূরা বাকারা আয়াত ২০১-এ আল্লাহ্ সুবহানাল্লাহু তায়ালা দুনিয়া বাশিকে আরও শিখিয়েছেন তোমরা তোমাদের রবের কাছে চাও, হে আমার রব! আমাকে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। সুত্র; সূরা বাকারা আয়াত-২০১। অতএব আমরা আল্লাহর এই হুকুমের অনুস্বরন করে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে কাজ করে দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করব এবং ‘শাম’স’এর সাথে কেরিয়ার গড়ে,সত্য ও ন্যায়ের পথে কাজ করে দারিদ্র্য মুক্ত সচ্ছল জীবন গড়ার কাজ বাস্তবায়ন করব ইনশায়াল্লাহ।
Activists কে, আমরা কেন Activists হবো ?
Activists অর্থ কোন কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী সামাজিক আন্দোলন কর্মী। নিবেদিতভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোন কাজেরই সফলতা আসে না। তাই সফলতার জন্য সবাইকে সমাজ উন্নয়নের উদ্দেশ্যে, সামাজিক, অর্থনৈতিক সংস্কার, সমর্থন ও প্রচেষ্টার আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা অপরিহার্য। যে ব্যক্তি সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনার জন্য সক্রিয় চেষ্টা করে তাকে বলা হয় সক্রিয় আন্দোলনকর্মী। আমরা এখানে সামাজিক, অর্থনৈতিক সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের জন্য ‘শামস’ এর মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটিয়ে সমাজ থেকে দা্রিদ্রতার অভিশাপ মুক্ত করে জীবন, জীবিকার উন্নয়ন করব ইনশায়াল্লাহ। অতএব সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দা্রিদ্রতার অভিশাপ মুক্ত সমাজ গড়ার মূল চালিকা শক্তি Activists বা সক্রিয় অংশগ্রহণ করা। আল্লাহ সুবহানআল্লাহু তায়ালা সূরা আল জুমুআহ, আয়াত-১০ এ বলেছেন- فَاِذَا قُضِيَتِ الصَّلٰوةُ فَانْتَشِرُوْا فِى الْاَرْضِ وَابْتَغُوْا مِنْ فَضْلِ اللّٰهِ وَاذْكُرُوا اللّٰهَ كَثِيْرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ নামাজ শেষে যমীনে ছড়িয়ে পড়, আর আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করতে থাক- যাতে তোমরা সাফলতা লাভ করতে পার। সূরা আল জুমুআহ, আয়াত-১০ এর তাৎপর্য হল কোন কাজে নিবেদিতভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সফলতা আসে না।